Home / ইসলাম / তাকবিরে তাশরিকের ইতিহাস ও ফজিলত
আল্লাহ তাআলার শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা, তাকবিরে তাশরিকের ইতিহাস ও ফজিলত

তাকবিরে তাশরিকের ইতিহাস ও ফজিলত

আল্লাহ তাআলার শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা, একত্ববাদের স্বীকৃতি ও তাঁর প্রশংসা হলো তাকবিরে তাশরিক। প্রত্যেক বছর জিলহজ মাসের ৯ তারিখ থেকে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত এ পাঁচ দিন তাকবির পড়া ওয়াজিব। তাকবিরে তাশরিকের মর্যাদা অনেক বেশি। সংক্ষেপে তাকবিরে তাশরিকের ইতিহাস তুলে ধরা হলো-

তাকবিরে তাশরিকের ইতিহাস-

আল্লাহ তা’আলা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে তাঁর জন্য কুরবানি করার নির্দেশ প্রদান করেন। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম আল্লাহর নির্দেশ কথা পুত্র ইসমাইলকে অবহিত করলেন। হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম পিতার মুখে আল্লাহর নির্দেশের কথা শুনে কুরবানি হতে রাজি হয়ে গেলেন।

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম যখন হজরত ইসমাইলকে কুরবানি করতে যাবেন, ঠিক তখনই হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম আল্লাহর নির্দেশে বেহেশত থেকে একটি দুম্বা নিয়ে রওয়ানা হন।

তাঁর সংশয় হচ্ছিল পৃথিবীতে পদার্পণের পূর্বেই হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম জবেহ কার্য সম্পাদন হয়ে যায় কিনা। তাই হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম আকাশ থেকেই উচ্চ স্বরে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করতে থাকেন-
اَللهُ اَكْبَر – اَللهُ اَكْبَر
উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার; আল্লাহু আকবার

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তাঁর আওয়াজ শুনে আকাশের দিকে তাকালে দেখতে পান যে, হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম একটি দুম্বা নিয়ে আসছেন। হজরত ইসমাঈল আলাইহিস সালামের পরিবর্তে কুরবানির দেয়ার জন্য। তা দেখে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তাওহিদের কালিমা ও তাঁর রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করে বলে উঠলেন-
لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ اَللهُ اَكْبَر
উচ্চারণ : ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার।’

পিতার মুখে তাওহিদের এ অমূল্যবাণী শুনতে পেয়ে হজরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম আল্লাহর মহাত্ম, মর্যাদা ও শান শওকতের পাশাপাশি তার প্রশংসা করে বলেন-
اَللهُ اَكْبَر وَ لِلهِ الْحَمْد
উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’

তাৎপর্য ও ফজিলত

মহান আল্লাহ তাআলার প্রধান ফেরেশতা, একজন নবি ও তাঁর একজন ভবিষ্যৎ নবিসহ এ তিন মহান ব্যক্তিত্বের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা, তাওহিদের ঘোষণা এবং প্রশংসামূলক বাক্যগুলোর আমল আল্লাহ তাআলার দরবারে এত বেশি পছন্দ হলো যে, তিনি তা মুসলিম উম্মাহর জন্য আমল হিসেবে কবুল করলেন।

কিয়ামত পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ পবিত্র জিলহজ মাসের ৯ তারিখ থেকে ১৩ জিলহজ আসর নামাজের সময় পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর (মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর) পাঠ করা ওয়াজিব করে দিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাকবিরে তাশরিকের ইতিহাস জানার পর উল্লেখিত দিনগুলোতে এ ওয়াজিব তাকবির আদায় করে তাঁর নৈকট্য অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

নিউজ ডেস্ক ।।আপডটে, বাংলাদশে সময় ১০:২০ পিএম,১০ সেপ্টেম্বন ২০১৬ শনিবার
এইউ

Leave a Reply