Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নানা অনিয়মের কারণে তত্ত্বাবধায়কের প্রতি ক্ষোভ
Chandpur General Hospital
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ফাইল ছবি

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নানা অনিয়মের কারণে তত্ত্বাবধায়কের প্রতি ক্ষোভ

নানা অনিয়ন, দুর্নীতি আর দায়িত্ব অবহেলার কারণে চাঁদপুর আড়াশ’ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত’র প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাঁদপুর সদর-হাইমচর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. দীপু মনি এমপি।

রোববার (২০ আগস্ট) সকালে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় কমিটির উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারি এ হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তার (তত্ত্ববধায়ক) প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়াও সভায় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল ও পুলিশ সুপার শামসুন্নহার পিপিএম একই কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

হাসপাতালের বিষয়ের অনিয়ম, দুর্নীতি ও কর্মকর্তা এবং চিকিৎসদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিক ও অন্যান্যরা ডা. দীপু মনি এমপি ও জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন। পরে ডা. দীপু মনি তার বক্তব্যে বলেন, একটি হাসপাতালের চিকিৎসার পাশাপাশি চিকিৎসকও বড় বিষয়। অথচ জেলার সবচেয়ে বড় সরকারি এই চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রটিতে প্রতিনিয়ত নানা অভিযোগ শুনতে পাচ্ছি।

তিনি বলেন, হাসপাতালেল টয়লেটের দড়জা-জানালা ভাঙা, খাবারে নিন্মমান, চিকিৎসকরা ইচ্ছেমতে ডিউটিতে আসেন এবং চলে যান। আমি নিজেও সদর আসনের একজন এমপি হিসেবে এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ককে বেশ কয়েকবার জানিয়েছি, অথচ তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।

হাসপাতালের তত্ত্ববধায়কের উদ্দেশ্যে ডা. দীপু মনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে আপনাকে প্রতিষ্ঠানে কাছা-কাছি বসবাস করা উচিত, অথচ আপনি সু-দূর হাজিগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রতিদিন এসে দায়িত্ব পালন করছে। এখানে আপনার যে দায়িত্ব তাকে ২৪ ঘন্টা এর কাছাকাছি থাকা উচিত। এ বিষয়ে গত একবছর ধরে আপনাকে বলে কোনো কাজ হয়নি।

জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বাড়ি যেখানেই হোক না কেনো, তারা কর্মস্থলের কাছাকাছি থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। অথচ আপনি থাককেন অন্য একটি উপজেলায়। আপনার (তত্তা¡বধায়ক) মতো একজন উর্ধতন কর্মকতাকে নিয়ে এতো কথা হবে তা আমরা আশা করিনা। যে সমস্যগুলো নিয়ে কথা হয়েছে আগামী ৪ দিনের মধ্যে তার সমাধান করবেন। প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নিবেন। তার পরেও সেবামূলক এই প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো অবস্থাতেই দায়িত্ব অবহেলা করবেন না।

পুলিশ সুপার শামসুন্নহার পিপিএম বলেন, এই হাসপাতালে রোগীদের খুবই নিম্মমানের খাবার দেয়া হয় যা খুবই কষ্টদায়ক সত্য কথা। আপনাদের ভাবতে হযে যে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষগুলো এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। তারা এতোদূর থেকে খাবার আনতে পারে না বলেই এসব নিন্মমানে খাবার খেতে বাধ্য হয়।

এসময় পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মোহাম্মদ আব্দুল হাই, জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আয়শা আক্তার, চাঁদপুর সিভিল সার্জন রথিন্দ্র নাথ মজুমদারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ ১০ : ০০ এএম, ২১ আগস্ট ২০১৭, সোমবার
এইউ

Leave a Reply