Home / চাঁদপুর / ‘ডিসি’ পরিচয়ে হান্নানের কাছ থেকে চাঁদা গ্রহণকারী চক্রের নারী আটক
‘ডিসি’ পরিচয়ে হান্নানের কাছ থেকে চাঁদা গ্রহণকারী চক্রের নারী আটক

‘ডিসি’ পরিচয়ে হান্নানের কাছ থেকে চাঁদা গ্রহণকারী চক্রের নারী আটক

চাঁদপুর জেলার কথিত ‘ডিসি’ পরিচয় দিয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক ফরিদগঞ্জের বিশিষ্ট শিল্পপতি এম এ হান্নানের কাছ থেকে চাঁদা গ্রহণকারী চক্রের নারী সদস্যকে আটক করেছে চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

২১ এপ্রিল এসআই মো. আহসানুজ্জামান ও এএসআই রিপন দে সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকার পাকুরিয়া থেকে মোছা. কুমকুম নেছা(৩৬) কে আটক করে।

মামলার বরাতে গোয়েন্দা পুলিশ জনায়, গত বছরের ১৩ আগস্ট মার্কেন্টাইল ব্যাংক চাঁদপুর শাখার অপারেশন ম্যানেজার ফয়সাল হায়দার চৌধুরী ও ব্যাংকটির পরিচালক শিল্পপতি এমএ হান্নানের মোবাইল ফোনে চাঁদপুর জেলার ডিসি পরিচয় দিয়ে ১৫ই আগস্ট শোক দিবসের অনুষ্ঠান করার জন্য খরচ বাবদ ২ লাখ টাকা দেয়ার অনুরোধ করেন।

সে অনুযায়ী ফয়সাল হায়দার ডিসি পরিচয়দানকারী ব্যাক্তির দেয়া তিনটি বিকাশ মোবাইল নাম্বারে দুই লাখ টাকা প্রদান করেন।

পরবর্তীতে ফয়সাল হায়দার চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সাথে দেখা করে নিশ্চিত হন যে বিষয়টি প্রতারক চক্রের কাজ।
ঘটনার পর থেকেই কথিত ডিসি পরিচয়দানকারীর নিজের মোবাইল নাম্বার এবং প্রদত্ত বিকাশ নাম্বার গুলো বন্ধ করে দেয়।

এ বিষয়ে ফয়সাল বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের।
এসআই/মোঃ আহসানুজ্জামান বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সহিত জড়িত ব্যাক্তিদের সনাক্ত করেন এবং সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকায় গত ১৯ মার্চ অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করেন কিন্তু আসামীরা সুচতুর হওয়ায় সে যাত্রায় সু কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পায়।

এরপর পুণরায় বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকার পাকুরিয়া থেকে ঘটনার সাথে জড়িত কুমকুম নেছা কে গ্রেফতার করেন।

কুমকুম নেছা ও তার ভাই ইমদাদুল হক সোহেল দুইজন মিলে যোগসাজসে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা হতে প্রায় ৪/৫ কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
সোহেল নিজেকে বিভিন্ন সময় উচ্চ পদস্থ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে বড় বড় ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, সরকারী কর্মকর্তাকে তার প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে লাখ-লাখ টাকা বিভিন্ন বিকাশ নাম্বারে নিয়ে আসতো, আর সে টাকা গুলো উত্তলোন এর জন্য তার বোন কুমকুমকে ব্যবহার করত।

চাঁদপুরের কথিত ডিসি পরিচয়দানকারী মোবাইল নাম্বারটি সোহেলের বোন কুমকুম এর নামে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করা।

করেসপন্ডেন্ট
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮: ১৩ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার
ডিএইচ

Leave a Reply