Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণ / চাঁদপুর টাইমসের সংবাদের পর সে ডায়াগনস্টিকটি সীলগালা
চাঁদপুর টাইমসের সংবাদের পর সে ডায়াগনস্টিকটি সীলগালা
অনিয়মের অভিযোগে সীলগালা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।

চাঁদপুর টাইমসের সংবাদের পর সে ডায়াগনস্টিকটি সীলগালা

অনলাইন নিউজ পোর্টাল চাঁদপুর টাইমসে সংবাদ প্রকাশ করার পর অবশেষে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও বাজারের মেঘনা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে সীলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নানা অনিয়মের অভিযোগে লাইসেন্স ও অনুমোদনহীন মেঘনা ডায়গনস্টিক সেন্টারটি সীলগালা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ কে এম মাহাবুবুর রহমান ও এএসআই খোরশেদ আলম ।

ভ্র্যামমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নায়েরগাঁও বাজারে ভুয়া টেকনিশিয়ান দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার করার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা এবং টিনের ঘরে এক্স-রে মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারণ মানুষদের সাথে প্রতারণা করায় এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

২১ অক্টোবর সরজমিনে গিয়ে নানা অনিয়মের চিত্র দেখা যায়। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে সাধারণ মানুষদের সাথে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার টাকা। রেডিওগ্রাফার টেকনিশিয়ান রক্ত প্রশ্রাব-পায়খানা পরীক্ষার ল্যাব টেকনিশিয়ান ছাড়াই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলো। এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শ বা নির্দেশনা ও প্রেসক্রিপশন ছাড়াই তাদের খামখেয়ালি মত বিভিন্ন রোগের নাম করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কতৃপক্ষরা।

ঘটনাস্থলে গিয়ে আরো জানা যায়, মাধব চন্দ্র হালদার ও শ্যালক পলাশ চন্দ্র হালদার মিলেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

এ সংক্রান্ত তথ্যবহুল জনগুরুত্বপূর্ণ সংবাদটি ২২ অক্টোবর অনলাইন নিউজ পোর্টাল চাঁদপুর টাইমসে গুরুত্বের সাথে প্রকাশ হয়। সংবাদটি সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে বুধবার (২ নভেম্বের) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যেমে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সীলগালা করে দেয়া হয়।

এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদনটি দেখুন- মতলবে টিনের ঘরে এক্স-রে মেশিন : নেই টেকনিশিয়ান

।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ১০:৫১ পিএম, ২ নভেম্বর ২০১৬, বুধবার
এইউ

চাঁদপুর টাইমসের সংবাদের পর সে ডায়াগনস্টিকটি সীলগালা

About The Author

প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক, মতলব দক্ষিণ

Leave a Reply