Home / সারাদেশ / ঝিনাইদহের ১৭টি সিনেমা হলের মধ্যে ১৩টিই বন্ধ
ঝিনাইদহের ১৭টি সিনেমা হলের মধ্যে ১৩টিই বন্ধ

ঝিনাইদহের ১৭টি সিনেমা হলের মধ্যে ১৩টিই বন্ধ

‎Tuesday, ‎14 ‎April, ‎2015  02:08:00 PM

জাহিদুর রহমান তারিক :

ঝিনাইদহের ১৭টি সিনেমা হলের মধ্যে ১৩টিই বন্ধ। ঝিনাইদহে ৬টি উপজেলায় ১৭টি সিনেমা হলের মধ্যে ১৩টিই বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হওয়া সিনেমা হলগুলো এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বসবাড়ি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। হল মালিকদের অভিযোগ ঘরে ঘরে ডিশ ও স্যাটেলাইট চ্যানেলের কারনে ফলে এখন আর তেমন দর্শক আসে না। যার কারণে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে তারা।

আর এই ১৭টি সিনেমা হলের সাথে জড়িত প্রায় ২শ শ্রমিক-কর্মচারী অন্য পেশা বেছে নিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় প্রায় ১৭টি সিনেমা হল গড়ে তোলা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫টি। ১৯৫৫ সালে তৈরি করা হয় ছবিঘর। ১৯৭০ সালে তৈরি করা হয় প্রিয় সিনেমা হল ও চান্দা। ৯০ দশকে সদর উপজেরার হাটগোপলপুরে হ্যাপী, ডাকবাংলা বাজারে স্বর্ণালী। কালীগঞ্জে শ্রীলক্ষী ও ছন্দা, হরিণাকুন্ডুতে মল্লিকা,গোধুলি,মৌসুমি, প্রিয়াংকা ও রংমহল। কোটচাদপুরে লাভলি, মহেশপুরে বিউটি ও দুলারী, শৈলকুপায় নুপুর ও কিছুক্ষণ। ঘরে ঘরে ডিস ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন পৌছে যাওয়ায় ও হলে দর্শক কমে যাওয়ায় একের পর এক বন্ধ হয়ে যায় ১৩টি সিনেমা হল।

বর্তমানে ঝিনাইদহে ২টি ও কালীগঞ্জে একটি সিনেমা হল। কালীগঞ্জের নামকরা শ্রীলক্ষী সিনেমা হলের সাথে দীর্ঘদিন জড়িত থাকা ইসরাইল হোসেন জানান, বাংলাদেশের সিনেমা এখন হলে বসে দর্শকরা দেখতে চায় না। ঘরে বসেই মানুষ টিভিতে সিনেমা দেখে। হলে দর্শক না আসায় মালিক পক্ষ বাধ্য হয়েই সিনেমা হলগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সিনেমা হল কর্মী থেকে তিনি এখন পত্রিকা বিক্রির কাজ করছেন। তার মতো প্রায় ২শ জন হল কর্মী অন্য পেশা বেছে নিয়েছে। হলের প্রচার কাজের সাথে ২৫ বছর ধরে জড়িত প্রচারকারী আকবর আলী জানান, তিনি প্রায় ২৫ ধরে সিনেমা হলের প্রচার কাজে জড়িত ছিলেন। সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার চাকুরি চলে যায়। এখন নিজে একটি প্রচারের দোকান দিয়েছেন।

ঝিনাইদহের অংকুর নাট্য একাডেমির পরিচালক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস, স্যাটেলাইট আর ডিস এর প্রভাবে মানুষ সিনেমা হলগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তিনি আরো জানান, ৯০ দশকের পরে সিনেমা হলগুলোতে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে। রুচি সম্মত সিনেমা এখন আর তৈরি হয় না। যার কারনে পরিবারের সদস্যদের এক সাথে নিয়ে হলে গিয়ে ছবি দেখা সম্ভব হয়না। ভাল ছবি তৈরি হলে অবশ্যই দর্শক সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখবে।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/জেআরটি/২০১৫

নিয়মিত আপনার ফেসবুকে নিউজ পেতে লাইক দিন : https://www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes