Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর শহরে বাসা থেকে গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চাঁদপুর শহরে বাসা থেকে গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

চাঁদপুর শহরে বাসা থেকে গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

চাঁদপুর শহরের মিশন রোড ফায়ার সার্ভিসের পেছনে বাড়ির মালিক মহিউদ্দিনের ৩য় তলায় মঙ্গলবার আনুমানিক দুপুর ১২টায় গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত গৃহকর্মী বরিশালের ফারুক হাওলাদারের মেয়ে তামান্না আক্তার সুখী (১৮)।

জানা যায়, তামান্না আক্তার সুখীকে ৪ বছর বয়সে গৃহের কাজ করার জন্য আব্দুল খলিল রহমান চাঁদপুরে নিয়ে আসে। তারপর থেকেই তামান্না তার বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে আসছে।

খলিল রহমানের স্ত্রী শাহারা বেগম জানায়, ৪ বছর বয়স থেকে তামান্নাকে লালন-পালন ও ভরণ-পোষণ করেই তাদের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে রেখেছেন। প্রতিদিনের মতো তিনি ও তাঁর স্বামী সকালের নাস্তা করে কর্মস্থলে চলে যান। তামান্নার সাথে থাকা অন্য গৃহকর্মী আমেনা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে ফোন করে জানায়, তামান্না আত্মহত্যা করেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে শাহারা চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘একই এলাকার পিয়াস নামের এক যুবকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে আমি জানতাম। ছেলের বাড়ি ঘর কোথায় তা আমি জানি না। তবে ছেলেকে দেখলে চিনবো। তামান্না প্রায় সময়ই ছেলেটির সাথে মোবাইলে কথা বলতো। আমি তাকে অনেক বারণ করতাম। কিন্তু তামান্না আমার কথা শুনত না। হয়ত প্রেমের কারনেই সে এ পথ বেছে নেয়।’

তামান্নার সাথে থাকা আরেক গৃহকর্মী আমেনা চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, ‘মঙ্গলবার সকালে তামান্না সকালের নাস্তা করে মোবাইলে কার সাথে যেন অনেকক্ষণ যাবত কথা বলতে শুনতে পাই। পরে আবার তার মোবাইলে ফোন আসলে তামান্না উচ্চ স্বরে কথা বলতে বলতে কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর অনেকক্ষণ পর তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আমি শাহারা আন্টির মামাতো বোন আমেনা আপাকে বিষয়টি জানাই। পরে আমেনা আপা আমাকে রাস্তার পাশের জানালা দিয়ে সে কি করছে দেখতে বলে। এরপর আমেনা আপাসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবক মিলে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে তামান্নাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাশটি ময়না তদন্রে জন্য থানায় নিয়ে যান।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন, চাঁদপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত মহিউদ্দিন মিয়া, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান দর্জি, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাইনুল ইসলাম পাটওয়ারীসহ অন্যান্যরা।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুলসহ কয়েকজন জানায়, গৃহকর্তী শাহারা বেগমের কথা একেকবার একেক রকম শুনা যাচ্ছে। আত্মহত্যা করলে যে ধরনের আলামত থাকার কথা গৃহকর্মী তামান্নার মধ্যে সেইগুলো দেখা যাচ্ছে না। এখন তাদের কথা শুনলে মনে হয় না এটা আত্মহত্যা।’

মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালী উল্লাহ ওলি জানায়, ‘প্রাথমিক দৃষ্টিতে মনে হয় গলায় ওড়না পেচিয়ে ছিলিং ফ্যানের সাথে আত্মহত্যা করেছে। তদন্ত রিপোর্ট না দেখে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮: ০৩ পিএম পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Leave a Reply