Home / জাতীয় / অর্থনীতি / চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি রুটসহ নদীপথ উন্নয়নে ৩২ শ’ কোটি টাকার প্রকল্প
চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি রুটসহ নদীপথ উন্নয়নে ৩২ শ’ কোটি টাকার প্রকল্প
ফাইল ছবি

চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি রুটসহ নদীপথ উন্নয়নে ৩২ শ’ কোটি টাকার প্রকল্প

বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় চট্টগ্রাম-বরিশাল-খুলনা-মংলা যাতাযতের জন্য চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি রুট ও আশুগঞ্জ নৌপথ উন্নয়ন এবং নাব্যতা উন্নয়নের পাশাপাশি ১৪টি ল্যান্ডিং স্টেশন ও ক ’টি টার্মিনাল ভবন সম্প্রসারণ ও নির্মাণে মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।

প্রকল্পের আওতায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌ-পথে ৬টি জাহাজ আশ্রয় কেন্দ্রও স্থাপিত হবে। এসব স্থানে দুর্যোগকালীন সময়ে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌ-যান নিরাপদে আশ্রয়লাভ করবে। ৩ হাজার ২শ’ কোটি টাকার ঐ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ২ হাজার ৮শ’৮০ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে।

দেশের নৌ – পরিবহন সেক্টরের বড় মাপের এ প্রকল্পটি অতি সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি ‘একনেক’-এর সভায় অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় বরিশাল ও নারায়ণগঞ্জে ২টি বিদ্যমান যাত্রী নৌটার্মিনাল ভবনের সম্প্রসারণ ছাড়াও ঢাকার শশ্মান ঘাট ও চাঁদপুরে দু’টি নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মিত হবে। এ ছাড়া ঢাকার পানগাঁও ও আশুগঞ্জে ২টি কার্গো টার্মিনালও নির্মিত হবে এ প্রকল্পের আওতায়।

এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ। প্রকল্পটির আওতায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর, ভোলা-বরিশাল ও চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি রুটে ফেরি পারাপার নির্বিঘœ রাখতে এ সব ঘাটের বেসিনগুলাও উন্নয়ন এবং পরিপূর্ণ সংরক্ষণের কথা রয়েছে।

দেশের ইতিহাসে এ প্রথমবারের মত একটি প্রকল্পে এত দীর্ঘ নৌ-পথ খনন করা হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়ন লক্ষ্যে এ প্রকল্পটিতে উল্লেখিত ৩টি ফেরি রুটসহ বিভিন্ন এলাকায় ১৪টি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে।

এসব ল্যান্ডিং স্টেশনে যাত্রী ও ফেরি ব্যবহারকারীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টগণ। তবে এসব ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণের আগে সন্নিহিত নদ-নদীর গতিপথসহ সড়ক অবকাঠামোর সুযোগ-সুবিধাসমূহ পরিপূর্ণ বিবেচনা ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে স্থান নির্ধারণের তাগিদ দিয়েছন ওয়াকিবহাল মহল।

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে বর্তমানে ইলিশা ও মজুচৌধুরীর হাটে ফেরিঘাট এবং লঞ্চঘাট থাকলেও মেঘনার অব্যাহত ভাঙন ও চড়া পরার কারণে বর্ষা ও শুষ্ক মৌশুমে এসব ঘাট সারা বছর সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। অসংখ্য ডুবোচরের কারণেই ১৬ কিলোমিটার প্রশস্ত ভাটি মেঘনা পাড়ি দিয়ে একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে যেতে ২৮ কি.মি. নৌ-পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সাথে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ আন্তর্জাতিক নৌ-বন্দর আশুগঞ্জের সাথেও নৌ -যোগাযোগ যথেষ্ট নির্বিঘœ হবে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম-বরিশাল ও খুলনা বিভাগের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ আরো উন্নত হবে।

এমনকি দেশের ৩টি সমুদ্র বন্দরের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক আরো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বরিশাল নদী বন্দরের নাব্যতা উন্নয়নসহ এ বন্দরের সুযোগ-সুবিধা আরো সম্প্রসারিত হবে বলেও আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। (ইনকিলাব)

করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:৪০ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০১৬, শুক্রবার
এজি/ডিএইচ

Leave a Reply