Home / লাইফস্টাইল / ঘুম ভাঙার পরপরেই যে কাজগুলি করতে নেই
ঘুম ভাঙার পরপরেই যে কাজগুলি করতে নেই

ঘুম ভাঙার পরপরেই যে কাজগুলি করতে নেই

ঘুম ভাঙার পর কী কী করা যেতে পারে আমরা অনেকেই তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। অনেকেই ছক কষতে বসে পড়ি সারা দিনের রুটিনে।

কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার পরও যে কিছুটা সময় নেওয়া প্রয়োজন তা অনেকেই জানি না। জীবনকে সুন্দর আর স্বাস্থ্যসম্মত করে তুলতে কিছু বিষয় না মানলেই নয়।

* অ্যালার্ম বাজছে, ঘুম ভেঙে গেল। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলেন এখনো বেশ সময় আছে। তাই আরেকটু ছোট্ট ঘুমের আশায় শুয়ে পড়লেন। এমনটি করা উচিত নয়। এতে শরীর আবার গভীর ঘুমের দিকে যাত্রা করে। কিন্তু কাজের তাড়ায় তো ঘুম কি আর হয়! উল্টে বিপত্তি, ঘুম থেকে উঠেও ঘুম-ঘুম ভাবটি পিছু ছাড়ে না।

* ঘুম থেকে উঠে বিছানায় কুঁকড়ে শুয়ে থাকবেন না। বরং নিজেকে পরিপূর্ণ জাগিয়ে তুলুন। আড়মোড়া কাটিয়ে উঠে পড়ুন বিছানা থেকে। ঘুম থেকে উঠে আড়মোড়া ভাঙলে শরীরে আনন্দের ভাব সঞ্চারিত হয়। যা আপনার সারা দিনের কাজে উদ্দীপনা বাড়ায়।

* ঘুম থেকে উঠেই নিজের ফোনটি নিয়ে শুরু করে দেই ঘাঁটাঘাঁটি। ঘুম ভাঙার পর অন্তত এ কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। এমনটি করলে জীবনের সমস্যা, অপ্রত্যাশিত উপহার বা প্রিয়জনের প্রত্যাশা সব কিছুর আবর্তে আচমকা আপনার ব্রেনে প্রেসার ফেলে। এর জের সারা দিন ধরে বয়ে বেড়াতে হয়।

* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জীবনের পাথেয়। বিছানা অগোছালো রেখে অন্য কাজে হাত দেবেন না। অর্থাৎ বিছানার বালিশ-চাদর ইত্যাদি গুছিয়ে রাখুন। এতে আপনার মাঝে সারা দিনের কাজগুলো গুছিয়ে করার প্রবণতা বাড়বে।

* অনেকেই ঘুম থেকে উঠেই বেড-টি কিংবা কফিতে আসক্ত। এমন কাজটি কখনই করবেন না। মানব শরীরে সাধারণত সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে করিস্টোল নামের এক ধরনের হরমোন উত্পন্ন হয়। এ হরমোন সারা দিনের উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। কফির ক্যাফিন এ হরমোনের উৎপাদনে বাধা দেয়। কাজেই কফি যদি খেতেই হয় তাহলে সকাল সাড়ে ৯টার পরে খান।

* দিনের কাজ শুরু করতে যাবেন। অন্ধকার ঘরে কখনই তৈরি হতে যাবেন না। ঘরের জানালা দিয়ে প্রবেশ করা বাইরের আলো আমাদের শরীরকে কাজের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। তাই ঘুম ভাঙার পর দিনের শুরুর দিকের আলোর মুখোমুখি হওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

* অনেকেই আছে ঘুম ভাঙার পর দিনের কাজের ছক কষতে বসে যান। এতে ঘুম ভাঙার পর আপনার ব্রেনে দারুণভাবে চাপ পড়ে। এমনটি না করে, বরং ঘুম ভাঙার পর মস্তিষ্ককে নিজের ছন্দে চলতে দিন। সে নিজে থেকে যা ভাবার ভাবুক। সচেতন ভাবনাগুলোকে না হয় তুলে রাখুন দিনের বাকি অংশের জন্য।

লেখাটি কার্যকরি ও উপকারি মনে হলে শেয়ার করতে ভুলবে না….