Home / শীর্ষ সংবাদ / চাঁদপুরে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দু’হাজার ৯শ’ মে.টন
gome

চাঁদপুরে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দু’হাজার ৯শ’ মে.টন

চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে এবার গম চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিভিন্ন জাতের গম চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষকরা। কম-বেশি সব উপজেলাই গমের ফলন ও চাষাবাদ হয়ে থাকে। বিশেষ করে গম উৎপাদনকারী অঞ্চল গুলোর মধ্যে হচ্ছে মুন্সীরহাট, মতলব, নারায়ণপুর, কুমারডুগি, শাহাতলী, কেতুয়া এলাকা ও বাকিলা।

চলতি বছরের শীত মৌসুমে চাঁদপুরে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দু’হাজার ৯ শ’ মে.টন। এতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৯শ’ ৩৬ হেক্টর।

চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে জানা গেছে, চাঁদপুর সদরে এবার ১শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪শ’ ৯৬ মে.টন।

মতলব উত্তরে ১শ’৩০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪শ’ ৩ মে.টন।

মতলব দক্ষিণে ১শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫শ’ ২৭ মে.টন।

হাজীগঞ্জে ১শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ শ’ ৬৫ মে.টন।

শাহারাস্তিতে ৩২ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯ মে. টন।

কচুয়ায় ২শ’ ৬৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ শ’ ২২ মে.টন।

ফরিদগঞ্জে ২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ মে.টন।

হাইমচওে ৯ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ মে.টন।

কয়েক জন কৃষকদের সাথে কাথা বলে জানা যায়, বর্তমানে কৃষকরা লাঙ্গলের পরিবর্তে ট্রাক্টর, হোচার পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত স্যালো সেচ ব্যবস্থায়, গোবরের সারের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসায়নিক সার ব্যবহার, উন্নত বীজ, পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার, নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার ও আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ থাকলে গমের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষিবিদরা জানান।

প্রসঙ্গত, চাঁদপুর জেলা একটি নদীবিধৌত কৃষি ভিক্তিক অঞ্চল বিধায় কৃষকরা সময়মত চাষাবাদ, বীজবপন ও সঠিক পরিচর্যায় পারদর্শী। জেলার ব্যাংকগুলো যথারীতি ফসল ঋণ প্রদান করে কৃষিপণ্য উৎপাদনে ব্যাপক সহায়তা দিচ্ছে।

এ দিকে চাঁদপুরের সাথে নৌ, সড়ক ও রেলপথের উত্তম যোগাযোগ থাকায় দেশের সর্বত্র কৃষিপণ্য পরিবহন অন্যান্য জেলার চেয়ে খুবই সহজ ও নিরাপদ।

প্রতিবেদক-আবদুল গনি
।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৮ : ৫৫ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার
এইউ

Leave a Reply