Home / ইসলাম / কুরআন না শেখার করুণ পরিণতি
purono quran sharif

কুরআন না শেখার করুণ পরিণতি

বাংলাদেশ পৃথিবীর দিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এদেশের শতকরা ৯০ জনই মুসলমান। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলে ও সত্যি যে, মুসলমানদের মধ্যে ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ মুসলমান শুদ্ধ করে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেনা। যারা কুরআন জানেন না তাদের আরো সতর্ক হওয়া খুবই প্রয়োজন।

এ সম্পর্কে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, “কুরআন জানা এবং না জানাদের উদাহরণ হলো এক লোক অন্ধ ও বধির এবং অন্যজন চক্ষুষ্মান ও শ্রবণশক্তি সম্পূন্ন এরা দুজন কি সমান হতে পারে?তবুও কি তোমরা শিক্ষা গ্রগণ করো না? (সুরা হুদ আয়ত-২৪)

মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি আমার যিকির /কুরআন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে তার জন্য দুনিয়ায় হবে সংকীর্ণ জীবন আর কিয়ামতের দিন তাকে উঠানো হবে অন্ধ করে। সে বলবে,হে আমার পালনকর্তা! দুনিয়য় তো আমি চক্ষুষ্মান ছিলাম কিন্তু এখনে কেন অন্ধ করে উঠানো হলো? আল্লাহ তা’য়ালা, হ্যাঁ এভাবেই তো, আমার আয়াত যখন তোমার কাছে এসেছিল তুমি তাকে ভূলে গিয়েছিলে আজ আমি তোমাকে সে ভাবেই ভূলে গেলাম। (সু ত্বহা আয়াত-১২৪-১২৬)

“যে ব্যক্তি রহমানের স্মরণ (কুরআন) থেকে গাফিল থাকে আমি তার ওপর এক শয়তানচাপিয়ে দেই যা তার বন্ধু হয়ে যায়। এ শয়তান ঐ সব লোককে সঠিক পথে আসতে বাধা দেয়। কিন্তু ঐ লোকেরা মনে করে আমরাতো সঠিক পথেই চলছি। এমনি ভাবে যখন ঐরূপ ব্যক্তি আমার নিকট আসবে তখন সে তার সঙ্গী (শয়তান) কে বলবে কি ভালো হতো যদি তোমার ও আমার মধ্যে পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত ব্যবধান হতো! কেননা তুমি ছিলে বড়ই নিকৃষ্ট সাথী।’(সুরা ঝুখরুফ আয়াত ৩৬-৩৮)

“আর সেদিন রাসুল বলবে: হে আমার প্রতি পালক! আমার এ উম্মতেরা এ কুরআনকে হাসি ঠাট্রার লক্ষ্য বস্ততে পরিণত করেছিল।(সুরা ফুরকান আয়াত ৩০)

রসুল স. এর কথা শুনে আল্লাহ তা’য়ালা কুরআন থেকে বিমুখ ঐ বান্দা দের দিকে আর ফিরে তাকাবেন না, তিনি তাদেরকে ভুলে যাবেন।

“তাদের বলে দেওয় হবে, আজ আমি ও ঠিক তেমনি তোমাদের ভুলে যাচ্ছি যেমন তোমরা এই দিনের সাক্ষাত ভুলে গিয়েছিলে। তোমাদের ঠিকানা এখন দোযখে এবং তোমাদের সাহায্যকারি কেউ নেই। তোমাদের এই পরিণতির কারণ হলো তোমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে ঠাট্রা বিদ্রূপের বিষয়ে পরিণতির করেছিলে এবং দুনিয়ার জীবন তোমাকে ধোঁকায় ফেলে দিয়েছিল। তাই আজ এদেরকে জাহান্নাম থেকেও বের করা হবে না। কিংবা বলা হবে না যে, ক্ষমা চেয়ে আল্লাহর সন্তষ্টি নাও।(সুরা যাসিয়া আয়াত ৩৪-৩৫)।

জাহান্নামে কুরআন বিমুখীরা আফসোস করে বলবে, “হায় আফসোস! যদি আমরা ঐ কুরআন ের বাণী শোনতাম ও সে অনুযায়ী আমল করতাম তা হলে আজ এ কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হতো না। (সুরা মূলক আয়াত ১০) আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে কুরআন শিখে সে অনুযায়ী পথ চলার তাওফিক দান করুন- আমিন!

লেখক- মাও. শামছুদ্দিন মাহমুদ ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ৬ : ০০ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার
এইউ

Leave a Reply