Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / একটি ভবনই বদলে দিতে হাতিরবন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র
একটি ভবনই বদলে দিতে হাতিরবন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র
পাশের পুকুরের দিকে হেলে যাওয়া কচুয়ার হাতিরবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ও ইনসেটে ভবনটির ফাটল চিত্র। ছবি- চাঁদপুর টাইমস

একটি ভবনই বদলে দিতে হাতিরবন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র

শিক্ষক সংকট, একাডেমিক ভবন, শ্রেণী কক্ষ, বিদ্যুৎ, আসবাবপত্র, শৌচাগার ও আসেনিক মুক্ত টিউবওয়েলসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত কচুয়া উপজেলার ১৬৪নং হাতিরবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বছরের পর বছর এসব হাজারো সমস্যার বোঝা মাথায় নিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। যেকোনো সময় বিদ্যালয়টি পুকুরে ভেঙ্গে পড়ে কিংবা ধ্বসে পড়ে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয়রা।
স্কুলটিতে গিয়ে জানা যায়, ‘১৯৯৫ সালে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী কদম আলী ও তার বংশধররা শিক্ষা বিস্তারের অজোপাড়া গাঁয়ে এ বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনি ও অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সন্তোষজনক ফলাফল উপহার দিয়ে আসছে।

বিদ্যালয়ে প্রায় দু’শতাধিক শিক্ষার্থী হয়েছে। এদের পাঠদানের প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৪ জন শিক্ষক রয়েছে।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানামুখী সমস্যার মধ্য দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। বিশেষ করে বিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন না থাকা, বিদ্যালয়ের সামনের পুকুরে বিদ্যালয়টি ভেঙ্গে যাওয়া, ফাটল সৃষ্টিসহ নানা সমস্যা রয়েছে।’

এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বার বার আবেদন করেও কাজে আসছেনা বলেও তিনি দাবি করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসা. পারভীন আক্তার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমাদের কষ্টের শেষ নেই। শ্রেণিকক্ষের অভাবে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষেই বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছি। বিদ্যালয়টি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয়ে আসতে চায়নি বলে অনেক অভিভাবক জানিয়েছে।’

এদিকে হাতিরবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দ্রুত সংস্কার কিংবা একটি নতুন একাডেমিক ভবন স্থাপনের জন্য স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন এলাকাবাসী।

একটি ভবনই বদলে দিতে হাতিরবন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র

About The Author

প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া

Leave a Reply