Home / সারাদেশ / এশিয়ার সর্ববৃহৎ একুরিয়াম কমপ্লেক্স হচ্ছে কক্সবাজারে
এশিয়ার সর্ববৃহৎ একুরিয়াম কমপ্লেক্স হচ্ছে কক্সবাজারে

এশিয়ার সর্ববৃহৎ একুরিয়াম কমপ্লেক্স হচ্ছে কক্সবাজারে

কক্সবাজারে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক মানের একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে । বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প খাতকে আরও সমৃদ্ধ ও বিদেশি পর্যটকদের সবধরণের সুবিধা দেয়ার জন্য বেসরকারি উদ্দ্যেক্তা রিথিংক নামক একটি প্রতিষ্ঠান একুরিয়াম নির্মাণে এ মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

এটি বাস্তবায়ন হলে বিশ^ পরিম-লে পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে যাবে বলে এমনটা মনে করছেন পর্যটক বিশে¬ষকরা। দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রস্তুতিমূলক কনফারেন্স সভা শুক্রবার (২৫ নভেম্বর ) উখিয়ার ইনানী রয়েল টিউলিপ বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন প্রধান অতিথি ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন সম্ভবনা খাত কে সমৃদ্ধ ও প্রসার করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতি মধ্যে বিশে^র দীর্ঘতম ১২০ কিলোমিটার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও পর্যটন শিল্পকে বিবেচনা করে মেরিন ড্রাইভ নির্মানের পাশাপাশি, কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দর, সাবরাংকে এক্সকু¬সিভ ট্যুরিজোনসহ বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নমূলক কর্মকা- দ্রুততার সাথে বাস্তবায়িত হচ্ছে।’
পর্যটন মন্ত্রী আরও বলেন একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণ হলে পর্যটন শিল্প প্রসারে কক্সবাজার হবে বিশে^র সবচেয়ে আকর্ষণীয়। তিনি আন্তর্জাতিক মানের এ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে সকল ধরণের সহযোগিতার আশ^াস দেন ।

প্রসঙ্গত : দেশি- বিদেশী পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটকখাত থেকে সরকার ৩০ ভাগ রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রায় পৌছাতে পারবে। বিশাল সমুদ্রের তীরবর্তীতে একুরিয়ামের জলজ প্রাণী,নানা জীববৈচিত্র উপাদানের উপস্থিতি ও আন্তর্জাতিক মানের গেইমপার্ক থাকবে। পৃথিবীর সকল দেশের নাগরিক ও পর্যটকদের জন্য ২০ ধরণের ডাইনিংসহ বিনোদন নাইট হোল্ডের সুযোগ থাকবে। এটি বাস্তবায়িত হলে বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে প্রচ- আগ্রহ বাড়বে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব এস.এম গোলাম ফারুক, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরুপ চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজামান খান কবির, সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্ণেল(অব.) ফোরকান এবং সিভিল এভিশয়নের কর্মকর্তা।

একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা ও পর্যটকদের সুবিধা সমূহ উপস্থাপন করেন রিথিংক এর উদ্যেক্তাও এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান লুলু আল মারজান।

করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:০০ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply