Home / চাঁদপুর / নির্ঘুম কর্মব্যস্ত চাঁদপুরের সেলাই শ্রমিকরা
ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত চাঁদপুরের সেলাই শ্রমিকরা
ফাইল ছবি

নির্ঘুম কর্মব্যস্ত চাঁদপুরের সেলাই শ্রমিকরা

পবিত্র মাহে রমজানের শেষভাগে মুসলিম সম্প্রদায়। আর মাত্র দু’দিন পরেই মুসলমানদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।

মুসলমানদের দুয়ারে খশির বার্তা নিয়ে দরজার কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদ। ৩০ দিনের সিয়াম সাধনার বিনিময়ে পাওয়া রমজানের এই ঈদ বিশেষ এক তাৎপর্য এবং গুরুত্ব বহন করে। ফলে রমজান ঈদ উদ্যাপনে ধনী-গরিব সকলই কিছুটা আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়।

থেমে থেমে বৃষ্টির ভারী বর্ষণে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়া চাঁদপুরের ঈদ বাজার এখন পুরোদমে চাঙ্গা। মূলত ১০ রোজার পর থেকেই চাঁদপুরের ঈদ মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচেয়ে শুরু হয়েছে। এবারের ঈদ বাজারে কাটা থ্রি-পিস এর দোকান, লেডিস কর্নার ও টেইলার্সগুলোতে রমজানের শুরু থেকে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নারী ক্রেতারা মার্কেট থেকে কাপড় কিংবা পোশাকের পিছ কিনে এসব টেইলার্স দোকানগুলোতে নিজের পছন্দ মতো পোশাক তৈরির জন্য ভিড় করছে। ফলে ট্রেইলার্সের সেলাই শ্রমিক ও মালিকদের চোখে এখন ঘুম নেই।

এদিকে রমজানের শুরু থেকেই শহরের টেইলার্সগুলোর সেলাই শ্রমিকদের (দর্জী) চোখের ঘুম অনেকটা হারাম হয়ে গেছে। সকাল থেকে গভির রাত পর্যন্ত সুই, সুতো আর নতুন কাপড় হাতে সময় পার করছে দর্জী বা কারিগর নামের সেলাই শ্রমিকরা। তারা এখন নির্ঘুম কর্মব্যস্ত সময় পার করছে।

২৩ জুন শুক্রবার শহরের ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের আব্দুল্লা টেইলাস (পাঞ্জাবী), জোরপুকুর পারস্থ ড্রেসকো টেইলার্স, নিউ মার্কেটের পরশমনি টেইলার্স, হোসেন প্লাজার হোসেন টেইলাস এন্ড ফেব্রিক্স, ভুইয়া সেন্টারের ময়ুরী টেইলাস এন্ড জাহি ফেব্রিক্স, নূর ম্যাশনসহ বিভিন্ন অভিজাত মার্কেটগুলোর পাশাপাশি রেলওয়ে হকার্স মার্কেট ইব্রাহিম টেইলাস এন্ড ফেব্রিক্স, পুরাণবাজা সেঞ্চুরী টেইলাস, মদিনা টেইলার্স, লোহাপুলের নিউ মুনসান টেইলার্সসহ বিভিন্ন পাড়ামহল্লার ছোট ছোট সেলাইয়ের দোকানগুলোতে ঘুরে সেলাই শ্রমিকদের ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে।

শহরের প্রসিদ্ধ সেলাই দোকন ময়ুরী টেইলার্স এন্ড জাহী ফেব্রিক্সের স্বত্বাধীকারী রোটা. জামাল হোসেন জানায়, এ বছর রমজানের শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই পোশাক তৈরির অর্ডার পাওয়া গেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার অর্ডার খুবই কম।

তিনি আরো জানান ‘প্রতিটি শার্টের মজুরি রাখা হচ্ছে ২৫০ টাকা, আর পেন্টের মজুির রাখা হয় ৩৫০ টাকা।’

এবার অর্ডার কম পরার কারণ সম্পর্কে তিনি জানান শহরের পাশাপাশি গ্রামের বাজার গুলোতেও দোকান বেড়ে গেছে। দিন দিন দোকান বাড়ছে অথচ মানুষের আয় তেমন বাড়ছে না।

পুরাণবাজারের মুনসান টেইলার্সে পরিচালক রাজন বেপারী চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, এবার রমজানের শুরুতেই ভালো অর্ডার পাচ্ছি। আমার দোকানে লেডিস কাস্টমার খুব বেশি। এবছর নারীরা লং থ্রি-পিস অর্ডার দিচ্ছে। কাস্টমারের কাছ থেকে প্রতিটি থ্রি-পিচের মজুরি তাঁর দোকানে রাখা হয় ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা আর এর বিনিময়ে তিনি কারিগরকে দিচ্ছেন ৭০ থেকে ৯০টাকা। শার্টের মজুরি রাখা হচ্ছে ২৫০ টাকা এবং প্যান্টের মজুরি ৩৫০ টাকা।

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২: ৪০ এএম, ২৪ জুন ২০১৭, শনিবার strong>
ডিএইচ