Home / আন্তর্জাতিক / ইন্দোনেশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী : খাবারের জন্য সংঘর্ষে নিহত ১০৪
ইন্দোনেশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী : খাবারের জন্য সংঘর্ষে নিহত ১০৪

ইন্দোনেশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী : খাবারের জন্য সংঘর্ষে নিহত ১০৪

‎Monday, ‎18 ‎May, ‎2015   03:00:30 PM

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে যেসব অবৈধ অভিবাসী ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে পৌঁছেছেন, তারা জানিয়েছেন খাবার নিয়ে সংঘর্ষে কাউকে ছুরি মেরে, কাউকে সাগরে ছুড়ে হত্যা করা হয়। এ সংঘর্ষে অন্তত ১০৪ জন নিহত হয়েছেন।

গত শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে পৌঁছে অভিবাসীরা তাদের যাত্রাপথের করুণ, রোমহর্ষক সব ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। খবর বিবিসির।

আচেহ থেকে বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, খাবার নিয়ে দাঙ্গা বেধে গেলে একটি নৌকাতেই অন্তত ১০৪ জন লোক মারা গেছেন।

তারা বলছেন, এদের কাউকে কাউকে ছুরি মেরে মারা হয়, কাউকে গলায় রশি পেঁচিয়ে মারা হয়। আবার কাউকে কাউকে নৌকা থেকে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের একটি ক্যাম্পে আশ্রয় পাওয়া অবৈধ অভিবাসীদের মুখ থেকে এ সব কথা জানা গেছে।

তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশী মোহাম্মদ রফিক। তিনি বলছিলেন, অন্তত ১০৪ জন লোক এভাবে মারা গেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘নৌকার ওপর আমাদের মারধর করা হয়েছে। মারধর সহ্য করতে না পেরে আমরা পানিতে ঝাঁপ দেই। এর মধ্যে যারা সাঁতার জানত তারা ভেসে ছিল আর যারা জানত না তারা পানিতে ডুবে মরে গেছে। ১০৪ জনের মতো মারা গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে তাদের আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। এই ঘটনাটা চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। এর পর ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত আমরা পানিতে ভেসে ছিলাম। তারপর ইন্দোনেশিয়ার নেভি এবং জেলে যারা অনেক দূরে মাছ ধরতে যায়, তারা আমাদের তুলে নেয়।’

এদের অনেকে বলেছেন যে, কয়েকজনকে ছুরি মারা হয়েছে এবং কয়েকজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

বিবিসি বাংলার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিন্তু এ সব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা কঠিন। অন্যান্য সংবাদমাধ্যম একই ঘটনার কথা যেভাবে রিপোর্টে প্রকাশ করেছে- তার বর্ণনার সাথে এর মিল রয়েছে।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের হাজার হাজার লোক থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার কাছাকাছি সমুদ্রে অনেক নৌকায় এখনো ভাসছে।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫

 

নিয়মিত ফেসবুকে নিউজ পেতে লাইক দিন : www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes 

চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।