Home / চাঁদপুর / কর্মশালায় ইউপি চেয়ারম্যানদের যা বললেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক
কর্মশালায় ইউপি চেয়ারম্যানদের যা বললেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক
মঙ্গলবারে তোলা কর্মশালার ছবি

কর্মশালায় ইউপি চেয়ারম্যানদের যা বললেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক

চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়রম্যানদের ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক ২ দিন ব্যাপি কর্মশালা বুধবার (২৪ মে) সমাপ্ত হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল।

কর্মশালার দ্বিতীয় দিন প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল চেয়ারম্যান উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনের সময় আপনারর জনপ্রতিনিধিরা অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর তার কিছুই করতে পারেন নি। আপনারা আপনাদের ইউনিয়নগুলোতে এমন কিছু ভালো কাজ করবেন যা আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। মানুষ পারেনা এমন কোনো কাজই নেই। ইচ্ছা থাকলেই সব কিছু করা যায়। মানুষের সেবার জন্য যেকোনো আইডিয়া আপনারা চেয়ারম্যানরা গ্রহণ করতে পারেন। আপনারা যদি আমাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ ও একমত হয়ে কাজ করেন তাহলে সাড়া দেশের মধ্যে চাঁদপুর জেলা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারবে।

তিনি চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আপনাদের ইউনিয়নের ১১ থেকে ১৮ বয়সের মেয়েদের ডাটাব্যাজ তৈরি করতে হবে। তাহলে আপনার ইউনিয়নে কত জন তরুণী রয়েছে তার হিসেবে আপনার তথ্য সেবা কেন্দ্রে ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ওয়েব পোর্টালে সংরক্ষিত থাকবে। তাছাড়া ১৫ থেকে ১৬ বছরের যে সব তরুণী রয়েছে তাদের পরিবারকে বুঝাতে হবে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই যেনো বিয়ে দেওয়া না হয়। যদি বিয়ে দেওয়া হয় তাহলে বাল্য বিয়ের আওতায় ওই পরিবারকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। ইউনিয়নের উন্নয়ন করলে চলবে না, খেলাধুলা, সামজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিষদের পক্ষ থেকে করতে হবে। ইউনিয়নের কৃষি, মৎস্য ও পশুপালন কর্মসূচিতেও ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের যে কয়টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে সে সব কমিটি মেম্বারদের সহায়তায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় গিয়ে আলোচনা করতে হবে। শিক্ষকদের আলোচনার বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভায় পুনরায় আলোচনা করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে স্থায়ী কমিটিগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। এই কমিটির মাধ্যমে গভীর নলকূপ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা এমনকি প্রয়নিস্কাশনের বিষয়টিও তদারকি করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে সচল রাখতে হবে। বর্তমানের ইউনিয়ন পরিষদগুলো ইউডিসি করা হয়েছে। অর্থাৎ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে অনেক সমস্য রয়েছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে এসব ইউনয়নগুলো আরো উন্নয়ন করা হবে।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আব্দুল হাই, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ডিস্ট্রিক ফ্যাসিলেটর মো. শাহরিয়ার রহমান প্রমুখ।

চেয়ারম্যাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল, বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম মিয়াজী, মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক, রাজরাজেশ্বর ইউনয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজি হযরাত আলী বেপারী, ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল্লা সরকার, টামাটা উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক দর্জি, চিতষি পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মো. জোবায়েদ কবির, হাজিগঞ্চ ৯নং উত্তর গোবিন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ১০ গন্তব্যপুর ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বাচ্চু, কচুয়া উপজেলার ১০নং ঘোহাট উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান হাজি মো. আব্দুল হাই, ১২নং আশ্রাফপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমনা, হাইমচর উপজেলার ১নং গাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল, ৩নং আলগী দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল জব্বার, ৬নং চরভৈরবী ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৩নং খাদের খাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, ৬নং উপাদী দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা, ১নং রাজার গাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী, ৯নং কোড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবিব প্রমুখ।

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০ : ১০ পিএম, ২৪ মে ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ

Leave a Reply