Home / জাতীয় / অর্থনীতি / আসছে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

আসছে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

আগামী অর্থবছরে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজেট হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, বিআইডিএস এর মহাপরিচালক কেএস মুর্শিদ, পরিকল্পনা সচিব তরিকুল-ইসলাম, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, বিআইডিএস-এর সাবেক মহাপরিচালক কাজী সাহাবুদ্দিন, অর্থনীতি সমিতির সম্পাদক জামাল উদ্দিন এবং আইএমইডির সচিব ফরিদউদ্দিন আহমেদ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনেরর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেটে মেগাপ্রকল্প গ্রহণের জন্য আলাদা ক্যাপিটাল বাজেট করার কথা রয়েছে। মেগা প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনে কিছুটা কঠিন শর্তের ঋণও নেওয়া হবে। গত কয়েক বছরে এডিপি বাস্তবায়ন কম হয়েছে। এর পিছনে নানা কারণ রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্হিবিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যখন প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী তখন আমরা ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করছি। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ জানান, চলতি অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়ন সঠিক অর্থেই রয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ অর্জিত হবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত এনবিআর রাজস্ব ১৫ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। এনবিআর বহির্ভূত করও বেড়েছে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের ঘাটতি অর্থায়ন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই রয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত মুদ্রা সরবরাহ ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। যা মুদ্রানীতির লক্ষ্যের মধ্যেই আছে। ডলারের বিপরীতে টাকার মান শক্তিশালী আছে। রেমিট্যান্স, আমদানি ব্যয়, রফতানি আয় সবই ঠিক আছে।

অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বাজেট বড় আকারের করা উচিত। বিনিয়োগ পরিস্থিতি খুবই দুর্বল। তাছাড়া সরকারী বিনিয়োগ ৭৫ শতাংশ হচ্ছে নির্মাণখাতে। কিন্তু কি ধরনের নির্মাণ কাজ হচ্ছে তা ভেবে দেখার বিষয় রয়েছে। মেগাপ্রকল্প নিচ্ছি এটা ভাল, কিন্তু বাস্তবায়ন ক্যাপাসিটি বাড়ানো উচিত।

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, শিক্ষা, অবকাঠামোসহ বিভিন্নখাতে যে অগ্রগতি হচ্ছে তা ধারাবাহিকভাবে ধরে রাখতে হবে। সামাজিক সুরক্ষার পরিধি আরো বাড়াতে হবে।

রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, আমরা স্বচ্ছ জবাবদিহিতামূলক কাজ করছি। কিছু কিছু ঝামেলা আছে তা দূর করার চেষ্টা করছি। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ে এনবিআর কাজ করে যাচ্ছে।

বিআইডিএস-এর মহাপরিচালক কেএস মুর্শিদ বলেন, দেশের বড় বড় অবকাঠামোগত প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে কিন্তু কৃষিখাতে কোন মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে না। জাতির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কৃষি ও ফার্মের মেগাপ্রজেক্ট নেওয়া দরকার। আগামী বাজেটে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা দরকার।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৬:১২ অপরাহ্ন, ০৩ মার্চ ২০১৬, বৃহস্পতিবার

এমআরআর