Home / চাঁদপুর / স্বাধীনতা দিবসে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা
স্বাধীনতা দিবসে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা

স্বাধীনতা দিবসে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহাদাৎ হাসেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গণি পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এম এ ওয়াদুদ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দ বদরুন নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরীফ চৌধুরী, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এমএ মতিন মিয়া, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা মাসুদা নুর, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া।

বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস মুক্তি আর সংগ্রামের ইতিহাস। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে স্বাধীনতার চেতনা লালন ও ধারণ করার কোনো বিকল্প নেই। ঐক্য হচ্ছে বাঙালি জাতির প্রথম চেতনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়। জাতীর পিতা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আজকের যে অর্থনীতি তা হাজারো চেষ্টায় অর্জন করা হয়েছে। গোটা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখনো স্বাধীনতাবিরোধীদের অপচেষ্টা থেমে যায় নি। স্বাধীনতার শক্তিতে, দীপ্তিতে বলীয়ান হয়ে এই অপচেষ্টাকারীদের রুখে দিতে হবে। সবাই একসাথে কাজ করি, আমরা সক্রিয় হই অধিকার আদায়ে। আমাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। তবেই আমাদের উন্নতি অগ্রগতি তরান্বিত হবে। বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন একটি দেশের স্বপ্ন দেখতেন। সেই সমাজে ধনী-দরিদ্রের, নারী পুরুষের বৈষম্য থাকবে না। যা কিছু সুন্দর, আধুনিক, দেশের জন্যে মঙ্গলজনকÑসেই স্বপ্নই দেখতেন শেখ মুজিবর রহমান। শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন।

বক্তারা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এক দিনে স্বাধীন হয়নি। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই দেশ। বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন নবাহ হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি জন্ম না নিলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। স্বাধীনতার জন্য আমাদের মনে অনেক অজানা দু:খ রয়ে গেছে। আমরা জয় বাংলার তিপ্তিতে যুদ্ধ করেছি। আমরা জয় বাংলা বললে মনে জোর পেতাম। এই জয় বাংলা কারো এখার নয়। জয় বাংলা শ্লোগান সকলের। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তিলে তিলে ধীরে ধীরে পরিপূর্ণতা লাভ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, রহিম বাদশা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জীবন কানাই চক্রবর্তী।

প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ০০ এএম, ২৭ মার্চ ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ

Leave a Reply