Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংর্ঘষ
songhorsho
প্রতীকী ছবি

ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংর্ঘষ

২১ ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রাত ১২টা ১ মিনিটে ফরিদগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ নিয়ে ছাত্রলীগের দু’ গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় উভয় পক্ষের ধাক্কাধাক্কিতে ফুলের ডালা ভেঙ্গে যাওয়া ছাড়াও শহীদ মিনারের দেয়ালের একাংশ ভেঙ্গে যায়। পরে উভয় পক্ষকে সরিয়ে পুলিশ দ্রূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি )রাতে একুশের প্রথম প্রহরে ছাত্রলীগের দু’টি পক্ষ ফুলের ডালা নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়। এ সময় দু’ পক্ষের মধ্যে শহীদ মিনারের বাইরে থেকেই উত্তেজনা সৃষ্টির এক পর্যায়ে আগে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টার সময় ধাক্কাধাক্কিতে শহীদ মিনারের দেয়ালের একাংশ ভেঙ্গে পড়ে ।

এ সময় তারা একপক্ষ আরেক পক্ষের ফুলের ডালা ভাংচুর করে । এতে শহীদ মিনারের বেদীর সামনেই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুব আলম সোহাগ গ্রুপের সাথে বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান জুয়েল পাঠানের গ্রুপের সাথে হাতাহাতি হয়।

পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সকলকে শহীদ মিনার থেকে বের করে দেয়। পরে বাইরে বেরিয়েই উভয় পক্ষ হাতাহাতি ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার উভয় পক্ষকে আশ্বস্থ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান জুয়েল জানায়,‘ উপজেলা ছাত্রলীগ তাদের কর্মসূচিতে দাওয়াত দেয় নি। তাই তারা নিজেরা ফুলের ডালা দিতে শহীদ মিনারে আসলেও তাদের বাঁধা দেয় এবং ফুলের ডালা ভেঙ্গে ফেলে। এ ছাড়া তাদের ধাক্কাধাক্কিতে শহীদ মিনারের দেয়াল ভেঙ্গে যায়। ক’জন নেতাকর্মী আহত হয়। পরবর্তীতে নেতাকর্মীদের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।’

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুব আলম সোহাগ জানায়, ছাত্রলীগের নামে তারা ফুল দিতে এসে বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্রলীগের ফুলের ডালা ভেঙ্গে ফেলে। এ ছাড়া তারা শহীদ মিনারে বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে তিনি দাবি করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার জানান, ছাত্রলীগের দু’ পক্ষের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি দু:খজনক।

তিনি উপস্থিত হয়ে সকলকে বুঝিয়ে শান্তনা না করলে রক্ত ঝড়তো বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলম জানান, ‘ ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিজেদের মধ্যে কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

ফরিদগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪: ০০ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ

Leave a Reply