Home / স্বাস্থ্য / আত্মহত্যা করতে চাইলে…
আত্মহত্যা করতে চাইলে...

আত্মহত্যা করতে চাইলে…

কেউ আত্মহত্যা করতে চাইলে, অথবা কাউকে দেখে যদি মনে হয়, তিনি শীঘ্রই আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেনG

তবে তাকে নিচের পরামর্শগুলো দিতে পারেন…তিনি এগুলো শোনা মাত্রই সুইসাইড থেকে ফিরে আসবেন!

১। আত্মহত্যা মহাপাপ…ডাইরেক্ট দোযখে স্থান।
২। জীবন একটাই…এভাবে শেষ করা ঠিক নয়।
৩। অন্যের উপর রাগ করে নিজের জীবন ধ্বংস করার কোন মানে হয় না।
৪। এভাবে পালিয়ে যাওয়া বীর মানুষের কাজ নয়।
৫। কেউ তোমাকে কষ্ট দিলে…কেন নিজেকে শেষ করবা…পারলে পাল্টা কষ্ট দাও।
৬। যারা তোমাকে এত্তো কষ্ট করে…লালন পালন করে বড় করল…নিজেকে শেষ করার আগে কেন একবার তোমার মা-বাবার কথা ভাববে না।
৭। জীবনে ব্যর্থতা আসবে, হতাশা আসবে…তাই বলে আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়। ইত্যাদি…

ভাই,
এসব পরামর্শ আপনিই দেন…কারণ আপনি বোকার স্বর্গে বাস করেন!

যে আত্মহত্যার পথে যাচ্ছে তার কাছে এসব কথা মূল্যহীন…বেঁচে থাকার মনটাই মরে যায় তার…আত্মহত্যারও অনেক আগে!

তাই,সে মনে উপদেশ বানী ঢুকে না…ভয় ঢুকে না…বিবেক থাকেনা!
তার হাতে একটাই সমাধান থাকে ‘সুইসাইড’!
তা যেকোন মূল্যেই হোক! আচ্ছা আপনজন হিসেবে আমাদের কি কিছুই করার নাই!

আছে….তার আগে জানতে হবে…সুইসাইড কয় ধরণের হয়ঃ
১। Acute (তীব্র) বা যেই মুহুর্তে মনে হল সেই মুহুর্তে সুই সাইড করা…এই যেমন বয়ফ্রেন্ডের সাথে রাগ হলো…সাথে সাথে মেয়েটি ক্ষেপে গিয়ে ছাদ থেকে লাফ দিল…কিংবা অন্য কোন উপায় সুইসাইড করল…
২. Chronic (দীর্ঘকালস্থায়ী) এক্ষেত্রে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশন বা বিষন্নতায় ভুগবেন…প্রায় দিন সুইসাইডের প্ল্যান করবেন…একসময় সফল হবেন।
করণীয়ঃ
————–
Acute হলে…
কেউ যদি হঠাৎ করে মনে এখনই সুইসাইড করবে…সে যদি সাথে সাথে ২০ থেকে ১ পর্যন্ত উল্টা দিকে গুণে…তবে,সে প্রায় ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে আর সুইসাইড করতে পারবে না!

আর Chronic হলেঃ
তাকে অবশ্যই একজন মানসিক বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে।
……………
পরিশেষঃ
প্রেসার-ডায়াবেটিস যেমন রোগের নাম…মনের সমস্যাগুলোও তেমনি একটি রোগের নাম…এ রোগের সামান্য অবহেলা, চিকিৎসা না হওয়া…আত্মহত্যার পথ প্রশস্ত করে!

আত্মহত্যার ইচ্ছেটাও তাই ভয়ানক এক মানসিক রোগ…সস্তা উপদেশ দিয়ে তার মৃত্যুকে ত্বরান্তিত না করে…তার হাতটা ধরেন…একজন মানসিক বিশেষজ্ঞের চেম্বার পর্যন্ত তাকে সঙ্গ দিন…যদি সত্যিই তার ভাল চান!

কে জানে হয়ত…তিনি আবারো ফিরে আসবেন তার আপন পৃথিবীতে…আপনার হাতটি ধরে!

লেখক- ডা. এসএমজি সাকলায়েন রাসেল,

Leave a Reply