Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে কোববানির জন্যে মোটা-তাজা হচ্ছে ৩৪ হাজার পশু
চাঁদপুরে কোববানির জন্যে মোটা-তাজা হচ্ছে ৩৪ হাজার পশু

চাঁদপুরে কোববানির জন্যে মোটা-তাজা হচ্ছে ৩৪ হাজার পশু

চাঁদপুর জেলায় ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে কোরবানির জন্য ৩৪ হাজার গরু-ছাগলকে মোটা-তাজা করা হচ্ছে। এজন্য বেশিরভাগ পশুকে নিজেদের আবাদ করা প্রাকৃতিক ঘাস খাওয়াচ্ছেন খামারিরা।

তবে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিকের ব্যবহার রোধে খামারিদের ওপর কড়া নজরদারি করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার ৮ উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ খামারি রয়েছেন। তাদের অনেকেই চাঁদপুর যুব উন্নয়ন অধিদফতর থেকে প্রশিক্ষিত। বাকিরা প্রশিক্ষিত খামারিদের অনুসরণ করছেন। এ বছর ৩৪ হাজার গরু-ছাগল মোটা-তাজা করছেন তারা। এর মধ্যে দুধেল গাভি ছাড়া বাকি পশুগুলো কোরবানির হাটে বিক্রি হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজাউল করিম জানান, প্রতিটি খামারে জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় লোকজনের তদারকিতে প্রাকৃতিক ঘাস, খড়, খৈল ও ভুষি খাইয়ে পশুগুলোকে মোটা-তাজা করা হচ্ছে। কোথাও কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। এগুলো চাঁদপুরের কোরবানির পশুর সিংহভাগ চাহিদা মেটাবে।

সরেজমিনে গেলে হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব হাটিলা গ্রামের মির্জা ডেইরি ফার্মের মালিক জলিলুর রহমান দুলাল মির্জা জানান, যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ শেষে ২০০৭ সালে মাত্র একটি গাভি নিয়ে ডেইরি ফার্মটি শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তার ফার্মে ২৬টি বিদেশি গাভি ও ৫০টি ষাঁড় মোটা-তাজা করা হচ্ছে। প্রতি বছর কোরবানি এলে ৫০ থেকে ৬০টি গরু মোটা-তাজা করে বিক্রি করা হয়। এতে বছরে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। হাঁস-মুরগি পালন ও মাছের চাষ করে আরও আয় হয় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।

হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জুলফিকার আলী জানান, এ উপজেলায় প্রায় ২০০ খামারি গরু-ছাগল মোটা-তাজা করছেন। কোথাও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর দ্রব্য ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে খামারিদের নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ১ : ১১ এএম, ১৩ আগস্ট ২০১৭, রোববার
এইউ

Leave a Reply