Home / জাতীয় / রাজনীতি / ‘আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে কাজ করে’
Maya-chodhuary

‘আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে কাজ করে’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বিগত দিনে ক্ষমতায় ছিলো তারা কখনোই দেশের কথা ভাবেনি, ভাবেনি মুক্তিযোদ্ধাদের কথা। দেশ নিয়ে চিন্তাও করেনি। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তেমন কিছু করেনি। আওয়ামীলীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কাজ করেছে।

শনিবার (১৩ মে) সকালে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের মায়া বীর বিক্রম অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাছাই-বাছাই কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের আবেদন যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। ১৩ ও ১৪ মে এ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা তালিকা যাচাই-বাছাই চলবে।

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধারা যে ভাতা সম্মানী পাচ্ছে তাও বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নিয়েছে। দেশটি এখন দুটি ধারায় বিভক্ত কটি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি অন্যটি স্বাধীনতাবিরোধী।’

তিনি বলেন, ‘দেশটি কেন স্বাধীন হল, কী ভাবে হল তার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা ছিল কি-না এ নিয়ে তাদের কোন যুক্তিসঙ্গত বক্তব্য নেই। বরং যারা এ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা, মানুষ হত্যা ও নারীর সম্মান নষ্ট করেছিল তাদের সাথে তারা জোট করে সরকার গঠন করেছিল।

মন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপক্ষের দল। শেখ হাসিনা যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মুক্তিযোদ্ধার মূল্যায়ন হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করে। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে জানে। তাদের জন্য কাজ করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করেছে। এ সরকারের আমলে ভুয়া কোনো মুক্তিযোদ্ধার তালিকা হবে না। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, যাদের মুক্তিযুদ্ধের সনদ আছে এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদেরকেই তালিকায় আনা হবে।’

যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও ইউএনও মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম এর উপস্থাপনায় অনলাইনে আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাছাই-বাছাই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুধ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিনিধি ও সহকারী কমান্ডার দপ্তর (মতলব উত্তরে) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মুবিম এর প্রতিনিধি ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুছ, জামুকা প্রতিনিধির সদস্য আব্দুল লতিফ বেগ, মতলব উত্তর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ মোজাম্মেল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি চেয়ারম্যান সামছুল হক চৌধুরী বাবুল,সাবেক চাঁদপুর জেলা কমান্ডার শহীদুল আলম রব, সাবেক জেলা কমান্ডার মিয়া জাহাঙ্গীর, সাবেক উপজেলা কমান্ডার তমিজ উদ্দিন, সাবেক থানা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা রতন, ছেংগারচর পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ সাত্তার সরদার।

অন্যাদেরর মধ্যে চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটোয়ারী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর আহম্মেদ, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল আলম জজ, জেলা পরিষদের প্যানেল জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, রেলওয়ে জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ হুমায়ন কবীর ঢালী, আঃ রশিদ সরকার, ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার, উপজেলা আ’লীগের নেতা বোরহান উদ্দিন চৌধুরী, কাজী মিজানুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম লস্কর,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন, ছেংগারচর পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, ছেংগারচর পৌর মুক্তিযোদ্ধা সদস্য সচিব মোঃ রুহুল আমিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি কামরুল হাসান মামুন, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম অপু, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদসহ উপজেলা ও ছেংগারচর পৌর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

প্রতিবেদক- খান মোহাম্মদ কামাল
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ৩৫ এএম, ১৪ মে ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply